জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে টাকা চুরির অভিযোগে সুজন হোসেন নামের এক যুবককে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে একটি ঘরে আটকে রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে। পরিবারের দাবি, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
সুজন ওই ইউনিয়নের কুমিরপুকুর এলাকার ওসমান আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সেলিম ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। বুধবার রাতে পার্শ্ববর্তী রায়কালী ইউনিয়নের পাইকড়দাড়িয়া গ্রাম থেকে সুজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাইকড় দাড়িয়া গ্রামের সুজনের খালাতো বোনের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা সুজনকে আটক করে।
এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। সেলিম মেম্বার রাতেই সেখান থেকে তাকে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে এনে মারধর করেন। পরে সুজনকে গ্রাম পুলিশ মানিকের পাহারায় রাতভর সেখানেই রাখা হয়।
সূত্রের দাবি, সকালে সুজনকে নাশতা করানোর পর ওই কক্ষে আটকে রেখে গ্রাম পুলিশ বাথরুমে যান।
ফিরে এসে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে রাতভর মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
গ্রাম পুলিশ মানিক বলেন, ‘সেলিম মেম্বার রাতে আমাকে ডেকে সুজনকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে বাড়িতে চলে যান। আমি সকালে তাকে নাশতা করিয়েছি।
পরে বাথরুম থেকে এসে দেখি সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে ধরে এনে মারধর করে সারা রাত আটকে রাখা অন্যায়। অন্য ইউনিয়নের ঘটনা আমাদের ইউনিয়নে সমাধান করার কথা নয়। ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
নিহতের স্ত্রী মারুফা বেগম বলেন, ‘চুরির অভিযোগ তুলে আমার স্বামীকে রাতে ধরে এনে সারা রাত মারধর করা হয়েছে। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মাথায় ব্যান্ডেজ করা আছে। রাতেই আমার স্বামীকে থানায় দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেলিম মেম্বার ও তার লোকেরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে সে (সুজন) চুরি ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিল। বুধবার রাতে তার খালাতো বোনের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় তাকে আটক করে কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে নিয়ে আসা হয়। সে টাকা চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তখন পুলিশে খবর দিলে সকালে তাকে থানায় নিয়ে আসতে বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে দিয়ে বাড়ি আসি। সকালে জানতে পারি সুজন নাশতা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন রেজা বলেন, তাদের রাতেই সুজনকে থানায় নিয়ে আসার কথা বললেও তারা থানায় নিয়ে আসেনি। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজনের লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে। পরিবারের দাবি, ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন ও তার সহযোগীরা সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
সুজন ওই ইউনিয়নের কুমিরপুকুর এলাকার ওসমান আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সেলিম ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। বুধবার রাতে পার্শ্ববর্তী রায়কালী ইউনিয়নের পাইকড়দাড়িয়া গ্রাম থেকে সুজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাইকড় দাড়িয়া গ্রামের সুজনের খালাতো বোনের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা সুজনকে আটক করে।
এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। সেলিম মেম্বার রাতেই সেখান থেকে তাকে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে এনে মারধর করেন। পরে সুজনকে গ্রাম পুলিশ মানিকের পাহারায় রাতভর সেখানেই রাখা হয়।
সূত্রের দাবি, সকালে সুজনকে নাশতা করানোর পর ওই কক্ষে আটকে রেখে গ্রাম পুলিশ বাথরুমে যান।
ফিরে এসে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে রাতভর মারধর করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
গ্রাম পুলিশ মানিক বলেন, ‘সেলিম মেম্বার রাতে আমাকে ডেকে সুজনকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে বাড়িতে চলে যান। আমি সকালে তাকে নাশতা করিয়েছি।
পরে বাথরুম থেকে এসে দেখি সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে ধরে এনে মারধর করে সারা রাত আটকে রাখা অন্যায়। অন্য ইউনিয়নের ঘটনা আমাদের ইউনিয়নে সমাধান করার কথা নয়। ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
নিহতের স্ত্রী মারুফা বেগম বলেন, ‘চুরির অভিযোগ তুলে আমার স্বামীকে রাতে ধরে এনে সারা রাত মারধর করা হয়েছে। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মাথায় ব্যান্ডেজ করা আছে। রাতেই আমার স্বামীকে থানায় দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সেলিম মেম্বার ও তার লোকেরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে সে (সুজন) চুরি ও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিল। বুধবার রাতে তার খালাতো বোনের বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় তাকে আটক করে কাশিড়া বাজারের হাট অফিসে নিয়ে আসা হয়। সে টাকা চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তখন পুলিশে খবর দিলে সকালে তাকে থানায় নিয়ে আসতে বলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরে গ্রাম পুলিশের হেফাজতে দিয়ে বাড়ি আসি। সকালে জানতে পারি সুজন নাশতা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন রেজা বলেন, তাদের রাতেই সুজনকে থানায় নিয়ে আসার কথা বললেও তারা থানায় নিয়ে আসেনি। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজনের লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিনিধি :